বাইরে ঝিরঝিরে বাতাস, সবুজ অরণ্যে চোখ-জুড়ানো জনপদ। প্রিয়জনের স্নেহমাখা আদর। ক্যাম্পাসের হৈ-হুল্লোড়। কর্মমুখর ক্যারিয়ার। সোশ্যাল গেট-টুগেদার। গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপন। শীতকালীন নৌ-বিহার। জীবনচক্রের নানা আয়োজন আর ব্যস্ততা ছেড়ে হঠাৎ একদিন বাস্তবতার পথে যাত্রা। একদমই হঠাৎ করে অনন্ত অসীমের পানে এ ছুটে চলা।
আসল আয়োজনটা সেখানেই। মহাজাগতিক প্রচণ্ড এক শব্দ শেষে, পৃথিবীসুদ্ধ মানুষের আবার জেগে ওঠা। জমিন ভেদ করে কাতারে কাতারে মানুষের জমায়েত। বিশ্বের অসংখ্য-অগণিত মানুষের জবাবদিহিতার দিন। বিশ্বাসী বান্দার একটু একটু করে জমিয়ে রাখা ভালো কাজের জন্য এবার পুরষ্কার নেওয়ার পালা। পাপাচারীদের গগণ-বিদারী আর্তনাদ। সে এক মহা-সাফল্যের আখ্যান অথবা, মহা-ব্যর্থতার গ্লানি।
মহাবিশ্বের প্রতিপালক মায়াভরা শব্দের গাঁথুনিতে বারবার এ কথাগুলো জানিয়ে দিয়েছেন। কুরআনের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে এ বার্তাগুলো। যারা এ সত্যকে নিয়ে সংশয়ে ভোগে, তাদের প্রশ্নের জবাবও পুঙ্খানুপুঙ্খ দিয়ে রেখেছেন তিনি।
যাদের অন্তরে মরিচা ধরেছে, কলুষতায় ছেয়ে গেছে যাদের ভেতর বাহির—তাদের অন্তরকে জাগিয়ে তোলার পয়গাম খোঁজা হয়েছে ‘জেগে ওঠো আবার’ বইয়ের পরতে পরতে। রবের সন্তুষ্টির জন্য যুগের পর যুগ লাঞ্ছনা আর জুলুম সয়ে গেছে যারা, তাদের ক্লান্ত হৃদয়েও জাগরণ তোলার প্রেরণা জোগাবে এ বই।
আর অপেক্ষা নয়..। বইটি এবার ছেপে এসেছে আলহামদুলিল্লা